মুহাম্মদ মাসুম খান: আসন্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজুকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আকরাম খান। লিখিত বক্তব্যে অধ্যক্ষ মোঃ আকরাম খান বলেন, শাহজাহান আলম সাজু একজন কারা নির্যাতিত সাবেক ছাত্র নেতা।তিনি ছাত্রলীগের ৪ কেন্দ্রিয় কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করার বিরল কৃতিত্ব অর্জনকারী মৃত্যঞ্জয়ী ছাত্রনেতা। তিনি ছাত্র জীবনে নিজের টিউশনির টাকা দিয়ে বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টের নামে জমি কিনেছিলেন।
বক্তাগন বলেন, অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম জননেত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হয়ে সারা বাংলার শিক্ষক সমাজকে নিয়ে সরকারের ভাল দিকগুলি সম্পর্কে জনগনকে সচেতন করেছেন,সাম্প্রদায়িক ও স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলেছলেন। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গত ১২ বছরে একদিনের জন্যই অবরোধ বা বন্দ হয় নি।
নিজ এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনসহ জনকল্যাণমূলক কাজে তার অনেক অবদান রয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যেও তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছেন। সভাপতি আরও জানান, ১৯৭৫ সালের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০২ আসনটি আওয়ামী লীগের হাত ছাড়া হয়ে যায়। বিগত তিনটি নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় কোনো প্রার্থী না দেওয়ায় নিশ্চিত বিজয় থেকে দল বঞ্চিত হয়।
আসন্ন উপ-নির্বাচনে সার্বিক বিবেচনায় এবং জাতীয় সংসদে শিক্ষকদের পক্ষে কথা বলার জন্য তিনি অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুকে মনোনয়ন দেওয়া হলে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে ১৯৭৫ এর পর বেহাত হয়ে যাওয়া এই আসনটি নিশ্চিত উদ্ধার করতে সক্ষম হবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাশিপ আশুগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি সহ: অধ্যাপক শাহজাহান ভুইয়া, সরাইল উপজেলা আহবায়ক সহ: অধ্যাপক কাউসার আহমেদ বাবুল, সদস্য সচিব শাহগীর মৃধা প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক ও সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।